অনেককাল আগে বিজ্ঞানীরা খালি চোখে আকাশ দেখতে দেখতে নানারকম প্রশ্ন করতেন আর সেই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতেন। আপনার সন্তানও হয়ত মহাবিশ্ব সম্পর্কে অসাধারণ কিছু আবিষ্কার করে ফেলতে পারে। একদিন হয়ত সে হবে বাংলাদেশের প্রথম মহাকাশচারী! তার মধ্যে এই আগ্রহটা জাগিয়ে তুলতে পারে মহাকাশের জগৎ বিজ্ঞানবাক্স। এখন সে ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলতে পারবে সৌরজগতের মডেল।
কোন গ্রহের আকার কীরকম, কোন গ্রহের রঙ কী আর নিজ অক্ষের ওপর কীভাবে ঘুরছে, এসবও জেনে যাবে। প্রাথমিক এই ধারণাগুলি শেখার পাশাপাশি তার মধ্যে তৈরি হবে নানারকম প্রশ্ন। সে জানতে চাইবে, সৌরজগতের বাইরের সুবিশাল মহাবিশ্ব সম্পর্কে। জানতে চাইবে ব্ল্যাকহোল, ওয়ার্মহোল আর সিংগুলারিটি নিয়ে! হয়ত তার মধ্যে থেকেই একদিন জন্ম নেবে একজন স্টিফেন হকিং!
মহাকাশের জগৎ বিজ্ঞানবাক্সের সাথে শুরু হোক আপনার ক্ষুদে অভিযাত্রীর মহাকাশ অভিযাত্রা!
প্রতিটি গ্রহ ও সূর্যের মডেল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও রংতুলি সংযুক্ত আছে। সহজবোধ্য এবং রঙিন ম্যানুয়াল বই আছে, যাতে গ্রহ, উপগ্রহ, তারকা ও নক্ষত্রমণ্ডল সম্পর্কে দারুণ সব তথ্য আর গল্প পাওয়া যাবে।
আপনার সন্তানের কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটবে । সে প্রশ্ন করতে এবং ভাবতে শিখবে।
ডিজিটাল ডিভাইসে ঘন্টার পর ঘন্টা স্ক্রল করে বাচ্চারা কিছুই শেখে না। শুধু তাই না, এটা আসলে খুবই ক্ষতিকর তার জন্যে। চোখ, মস্তিষ্ক, মনোযোগ সবকিছুরই ক্ষতি হয় এতে। ডিজিটাল অ্যাডিকশনের ক্ষতি কমিয়ে কোয়ালিটি টাইম দিতে মহাকাশের জগৎ খুবই সহায়ক হবে।
তার মোটর স্কিল উন্নত হবে।মোটর স্কিল বলতে মূলত হাত ও আঙুলের সূক্ষ্ম নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক সমন্বয় বোঝায়। মহাকাশের জগতে গ্রহগুলিকে জোড়া লাগানো, রং করা এসব করতে গিয়ে আপনার সন্তানের মোটর স্কিলের পাশাপাশি কগনিটিভ স্কিলও উন্নত হবে।
নিজ হাতে সৌরজগৎ তৈরির এই প্রক্রিয়ায় যদি আপনিও তাকে সাহায্য করেন, তাহলে দুজন মিলে চমৎকার কোয়ালিটি টাইম কাটবে। ওর ভাই-বোন থাকলে দুজনে মিলেও বানিয়ে ফেলতে পারবে সৌরজগতের মডেল, গল্প করতে পারবে বিভিন্ন রকম গ্রহের বিভিন্নরকম বৈশিষ্ট্য নিয়ে।